প্রকাশিত: Thu, Feb 23, 2023 4:02 PM
আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 8:32 PM

ব্যাংক বিদেশে, স্বাক্ষর বাংলায়

এ বি এম কামরুল হাসান : বিদেশে অবস্থানে ১৪ বছর পূর্ণ করেছি। ভিনদেশে বাঙালি পেলেই বাংলায় বলি। খুশিতে বলি। বিদেশি হলে উপায় নেই। ইংরেজিতে বলতে হয়। স্থানীয় বা মালয় হলে (যদি কেউ ইংরেজি না বুঝেন) ভাষায় বলার চেষ্টা করি। যদিও খুব ভালো পারি না। প্রায় দেড় দশকেও ভাষাটা ভালো মতো রপ্ত করতে পারিনি। আসলে তেমন একটা চেষ্টা করিনি। ওরা ইংরেজি বুঝে বলেই চেষ্টার ঘাটতি ছিলো। কথা যে ভাষায় বলি না কেন, আমি স্বাক্ষর করি বাংলায়। আমার পাসপোর্টের স্বাক্ষর বাংলায়। ব্রুনাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বাক্ষর বাংলায়। এদেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশন, জন প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে আমার বাংলা স্বাক্ষরটি রেকর্ড করা আছে। যে ব্যাংকে আমার একাউন্ট, যেখানে মাসে দু’বার বেতন আসে, সে ব্যাংকের কোনো চেক বই নেই আমার। 

কখনো নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনি। সর্বোচ্চ দৈনিক চার হাজার ডলার এটিএম মেশিন থেকে তোলা যায়। এর বেশি প্রয়োজন হলে ব্যাংকে গেলেই চাহিদা মাফিক পাওয়া যায়। শুধু এদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে  হয়। আরেকটি ফর্মে  স্বাক্ষর করতে হয়। স্বাক্ষরটি আমি বাংলায় করি। বিদেশের ব্যাংকে বাংলায় স্বাক্ষর করে চাহিদা মাফিক টাকা পাওয়া যায়, ভাবতেই ভালো লাগে, গর্ববোধ করি। কবি আবু জাফরের ভাষায় বলতে ইচ্ছে করে, আমি বাংলায় কথা বলি, বাংলায় লিখি, বাংলায় স্বাক্ষর করি। বাংলা আমার মনের আনন্দ, বাংলা অহঙ্কার, জীবন দিয়ে রাখিব ধরে, করি অঙ্গিকার।